সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার গ্রামপাঙ্গাসী-নিজামগাঁতী আঞ্চলিক সড়ক সংস্কার অভাবে বেহালাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। মাত্র আড়্ইা কিলোমিটার দৈর্ঘ্য জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক ও ব্রিজ সংস্কার না করায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উক্ত সড়কটি প্রায় ১৬ বছর অতিবাহিত হলেও পাকা করণের কোন উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। শুধু ইট বিছানো এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়ক ও ব্রিজ সংস্কারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ অনেকেই প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও কাজ হয়নি। এ কারণে এলাকাবাসী চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রায় দেড় যুগ ধরে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ অনেকেই বলছেন, কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য ওই সড়ক দিয়ে ঐতিহ্যবাহী গ্রামপাঙ্গাসী হাটে পৌঁছানো যায়না। এ সড়কটি পাকা না করায় আড়াই কিলোমিটার সড়কের পরিবর্তে প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। প্রতি সোমবার ও শুক্রবার ঐতিহ্যবাহী গ্রামপাঙ্গাসী হাট বসে। সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে এলাকার ৮/৯ গ্রামের মানুষ। বৃষ্টি ও বর্ষায় বেশি দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শেণী পেশার মানুষ।
উল্লেখ্য, প্রায় ১৬ বছর আগে ওই গ্রামের কৃতি সন্তান সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব মোঃ আব্দুস সালাম খানের প্রচেষ্টায় জেলা পরিষদ প্রদত্ত বরাদ্দে ওই আড়াই কিঃ মিঃ সড়কে ইট বিছানোর কাজ করা হয়। এরপর প্রায় দেড় যুগ অতিবাহিত হলেও ওই সড়ক সংস্কার ও পাকাকরণ হয়নি। জেলা পরিষদ ওই সড়ক সংস্কারের জন্য বরাদ্দের আগে সড়কটি এলজিইডির তত্বাবধানে ছিল। এ জটিলতার কারণে এলজিইডি ও জেলা পরিষদ ওই সড়ক সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নান্নু মাস্টার বলেন, স্থানীয় এমপি অধ্যাপক ডা: আব্দুল আজিজকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তবে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজগঞ্জ বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেছেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক সংস্কারের প্রক্রিয়া নেয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।